বাংলাদেশ ০৫:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিকতা, গবেষণা ও ইনোভেশনে উজ্জ্বল নক্ষত্র: মো. জাহিদুল ইসলামের আত্মজীবনী

  • আপডেট সময় : ০৫:১৭:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪
  • / 30

মো. জাহিদুল ইসলাম ২০১৬ সালে বাংলাদেশের জনপ্রিয় এডুকেশনাল অনলাইন পোর্টাল “ক্যাম্পাস লাইভ টুয়েন্টিফোর”-এর ক্যাম্পাস প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতা জগতে প্রবেশ করেন। তার সাংবাদিকতার শুরুটা ছিল অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু তিনি নিজের প্রতিভা ও মেধার মাধ্যমে খুব দ্রুতই দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজের সুযোগ পান। এরপরে তিনি জাতীয় পত্রিকা “দৈনিক দেশ পত্রিকা”, “দৈনিক জবাবদিহি” সহ আরও অনেক জাতীয় ও আঞ্চলিক পোর্টালে আঞ্চলিক প্রতিনিধি এবং সাব-এডিটর হিসেবে কাজ করেন।

২০২৩ সালের অক্টোবরে তিনি “ঢাকাপ্রকাশ” নামক জাতীয় নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালের জুনিয়ার সাব-এডিটর হিসেবে যোগদান করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তার কর্মদক্ষতা এবং পেশাদারিত্বের জন্য তিনি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে পদোন্নতি পেয়ে সাব-এডিটর হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।

সাংবাদিকতার বাইরে মো. জাহিদুল ইসলাম একজন গবেষক, ইনোভেটর, ব্লগার, ট্রাভেলার, এবং সামাজিক সংগঠন ও প্রশিক্ষক হিসেবেও কাজ করেছেন। তার বহুমুখী প্রতিভা ও উদ্যোগী মনোভাব তাকে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

জন্ম ও শৈশব: মো. জাহিদুল ইসলাম ১৯৯৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবকালীন সময়টা তিনি কাটিয়েছেন রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নে এবং পরবর্তীতে বেড়ে উঠেছেন রাজিবপুর সদর উপজেলায়। বর্তমানে তিনি রাজিবপুর সদর উপজেলার কারিগর পাড়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।

শিক্ষাজীবন: প্রাথমিক শিক্ষা জীবনে তিনি ২০০৪ সালে রাজিবপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শেষে ট্যালেন্ট মেধাবৃত্তি লাভ করেন। এরপর ২০০৯ সালে রাজিবপুর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা শুরু করেন এবং ২০১৫ সালে এসএসসি পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি ঢাকা সরকারি পলিটেকনিক থেকে কম্পিউটার টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন। ডিপ্লোমা শেষ করার পর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি করার মাধ্যমে তার শিক্ষাজীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হয়।

পেশাগত জীবন: তার পেশাগত জীবনে সাংবাদিকতা ছাড়াও, মো. জাহিদুল ইসলাম বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনি ২০১৮ সালে স্কিল কম্পিটিশনে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং একই বছর ঢাকাতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি ২০১৯ সালে নাসা স্পেস অ্যাপ চ্যালেঞ্জে চট্টগ্রাম বিভাগে প্রথম স্থান এবং ইসাব প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।

সাহিত্যকীর্তি: মো. জাহিদুল ইসলাম সাহিত্যক্ষেত্রেও অবদান রেখেছেন। তিনি তিনটি স্মরণিকা প্রকাশ করেছেন—স্বাধীনতার স্মরণিকা ‘উচ্ছ্বাস’, বিজয়ের স্মরণিকা ‘বর্ণমালা’ এবং একুশে স্মরণিকা ‘বায়ান্ন’। এছাড়াও, তিনি “পরিবর্তন চাই” নামক একটি বই লেখার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ব্যক্তিজীবন: ব্যক্তিজীবনে মো. জাহিদুল ইসলাম বিবাহিত এবং তাদের দুই ভাই। তিনি বাংলাদেশের একজন নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক, গবেষক, ও ইনোভেটর হিসেবে তার ক্যারিয়ারকে ধাপে ধাপে সমৃদ্ধ করে তুলছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাংবাদিকতা, গবেষণা ও ইনোভেশনে উজ্জ্বল নক্ষত্র: মো. জাহিদুল ইসলামের আত্মজীবনী

আপডেট সময় : ০৫:১৭:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

মো. জাহিদুল ইসলাম ২০১৬ সালে বাংলাদেশের জনপ্রিয় এডুকেশনাল অনলাইন পোর্টাল “ক্যাম্পাস লাইভ টুয়েন্টিফোর”-এর ক্যাম্পাস প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতা জগতে প্রবেশ করেন। তার সাংবাদিকতার শুরুটা ছিল অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু তিনি নিজের প্রতিভা ও মেধার মাধ্যমে খুব দ্রুতই দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজের সুযোগ পান। এরপরে তিনি জাতীয় পত্রিকা “দৈনিক দেশ পত্রিকা”, “দৈনিক জবাবদিহি” সহ আরও অনেক জাতীয় ও আঞ্চলিক পোর্টালে আঞ্চলিক প্রতিনিধি এবং সাব-এডিটর হিসেবে কাজ করেন।

২০২৩ সালের অক্টোবরে তিনি “ঢাকাপ্রকাশ” নামক জাতীয় নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালের জুনিয়ার সাব-এডিটর হিসেবে যোগদান করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তার কর্মদক্ষতা এবং পেশাদারিত্বের জন্য তিনি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে পদোন্নতি পেয়ে সাব-এডিটর হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।

সাংবাদিকতার বাইরে মো. জাহিদুল ইসলাম একজন গবেষক, ইনোভেটর, ব্লগার, ট্রাভেলার, এবং সামাজিক সংগঠন ও প্রশিক্ষক হিসেবেও কাজ করেছেন। তার বহুমুখী প্রতিভা ও উদ্যোগী মনোভাব তাকে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

জন্ম ও শৈশব: মো. জাহিদুল ইসলাম ১৯৯৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবকালীন সময়টা তিনি কাটিয়েছেন রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নে এবং পরবর্তীতে বেড়ে উঠেছেন রাজিবপুর সদর উপজেলায়। বর্তমানে তিনি রাজিবপুর সদর উপজেলার কারিগর পাড়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।

শিক্ষাজীবন: প্রাথমিক শিক্ষা জীবনে তিনি ২০০৪ সালে রাজিবপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শেষে ট্যালেন্ট মেধাবৃত্তি লাভ করেন। এরপর ২০০৯ সালে রাজিবপুর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা শুরু করেন এবং ২০১৫ সালে এসএসসি পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি ঢাকা সরকারি পলিটেকনিক থেকে কম্পিউটার টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন। ডিপ্লোমা শেষ করার পর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি করার মাধ্যমে তার শিক্ষাজীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হয়।

পেশাগত জীবন: তার পেশাগত জীবনে সাংবাদিকতা ছাড়াও, মো. জাহিদুল ইসলাম বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনি ২০১৮ সালে স্কিল কম্পিটিশনে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং একই বছর ঢাকাতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি ২০১৯ সালে নাসা স্পেস অ্যাপ চ্যালেঞ্জে চট্টগ্রাম বিভাগে প্রথম স্থান এবং ইসাব প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।

সাহিত্যকীর্তি: মো. জাহিদুল ইসলাম সাহিত্যক্ষেত্রেও অবদান রেখেছেন। তিনি তিনটি স্মরণিকা প্রকাশ করেছেন—স্বাধীনতার স্মরণিকা ‘উচ্ছ্বাস’, বিজয়ের স্মরণিকা ‘বর্ণমালা’ এবং একুশে স্মরণিকা ‘বায়ান্ন’। এছাড়াও, তিনি “পরিবর্তন চাই” নামক একটি বই লেখার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ব্যক্তিজীবন: ব্যক্তিজীবনে মো. জাহিদুল ইসলাম বিবাহিত এবং তাদের দুই ভাই। তিনি বাংলাদেশের একজন নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক, গবেষক, ও ইনোভেটর হিসেবে তার ক্যারিয়ারকে ধাপে ধাপে সমৃদ্ধ করে তুলছেন।