রাজিবপুরে ভিজিএফের চাল বিতরণে সংঘর্ষ: ইউপি সদস্যের দুই ছেলে আহত
- আপডেট সময় : ০২:০৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
- / 22
কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শাহাব উদ্দিনের দুই ছেলেকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়, রাজিবপুর সদর ইউনিয়ন কৃষকদলের সহ-সভাপতি মফিজুল হক (মফিজ আর্মি) ও সাইদুর রহমানসহ প্রায় ১৫-২০ জন মিলে এই হামলা চালিয়েছে।
আজ শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফের চাল বিতরণের সময় এ ঘটনা ঘটে।
ইউপি সদস্য মো. শাহাব উদ্দিন অভিযোগ করে জানান, মফিজ আর্মি ও সাইদুর তার কাছে ২০০টি ভিজিএফ স্লিপ চেয়েছিলেন। স্লিপ দিতে অস্বীকার করলে তারা দলবল নিয়ে এসে তার বড় ছেলে মো. ফুল মিয়া ও ছোট ছেলে শাকিল আহমেদকে মারধর করে। উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হয়।
তবে ঘটনার এখানেই শেষ নয়। চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে বিচার করার উদ্দেশ্যে বসার পরও উত্তেজিত হয়ে মফিজ আর্মি ও সাইদুরের দল তার দুই ছেলেকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরে আহতদের উদ্ধার করে রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। শাহাব উদ্দিনের অভিযোগ, এই ঘটনার মধ্যে তারা পরিষদ থেকে ৩০ বস্তা চাল লুট করে নিয়ে গেছে।
ইউপি সদস্য শাহাব উদ্দিনের বড় ছেলে ফুল মিয়া বলেন, “আমার বাবার কাছে মফিজ আর্মি ও সাইদুর ২০০টি ভিজিএফ স্লিপ চেয়েছিল। স্লিপ না দেওয়ায় আমাদের দুই ভাইয়ের ওপর হামলা চালানো হয়। আমার মাথায় ও বুকে কিল-ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা বললে রাজিবপুর সদর ইউনিয়ন কৃষকদলের সহ-সভাপতি মফিজুল হক (মফিজ আর্মি) অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “শাহাব উদ্দিন মেম্বার চাল লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছিল। ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কিছু চাল জব্দ করে। আমরা বিষয়টি বলায় মেম্বার এসে সাইদুরের কলার ধরে মারধর করে। আর ২০০টি স্লিপ আমরা কেন চাইব? আমাদের কি কোনো কিছুর অভাব রয়েছে! আমরা শুধু জানতে চেয়েছিলাম কেন গরিব মানুষগুলোকে না দিয়ে চালগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”
রাজিবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরন মোহাম্মদ ইলিয়াস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগের নেতাদের এলাকা। ওই ওয়ার্ডের মেম্বার চাল বিতরণ করছেন। এ সময় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের উস্কানিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।”
তিনি আরো বলেন, “মেম্বারের তালিকা অনুযায়ী চাল বিতরণ করা হচ্ছে। বিতরণ শেষ হলে অনিয়ম হয়েছে কি না, তা জানা যাবে।”
ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে এই ঘটনায় এখনো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি বলে জানা গেছে।