বাংলাদেশ ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পড়াশোনা কম জানায় প্রশিক্ষণ থেকে নারীকে লাঞ্চিত করে বের করে দিলেন কৃষি কর্মকর্তা রাজিবপুরে মাঠের অভাব, অনলাইন জুয়া ও দখলদারদের রাজত্ব বিরল রোগে আক্রান্ত মোকাররমের পাশে “রশিদ মন্ডল ফাউন্ডেশন”- দুই ধাপে উপহার বিতরণ, উন্নত চিকিৎসার দাবি পরিবারের রৌমারীতে মডেল প্রেসক্লাবের শুভ উদ্বোধন জবি শাটডাউন, চার দফা দাবিতে কাকরাইলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গণঅনশন আজ মোহনগঞ্জে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষুব্ধ কুড়িগ্রামের ডিসি নুসরাত সুলতানা কুড়িগ্রাম (উলিপুরে) ব্রহ্মপুত্র নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরা দেহ উদ্ধার কুড়িগ্রামে কৃষিজমি থেকে স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যা রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়ন বিএনপির পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা 

বড়াইবাড়ি সীমান্ত যুদ্ধের ২৩ বছর পূর্তি: রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে নতুন করে উচ্চকিত কণ্ঠ

  • আপডেট সময় : ০৪:৫১:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 25

২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল। দিনটি ইতিহাস হয়ে আছে জাতির স্মৃতিতে রক্তাক্ত এক অধ্যায় হিসেবে। কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ি সীমান্তে বাংলাদেশের বীর সেনারা বুক চিতিয়ে রুখে দিয়েছিলেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর আগ্রাসন। সেই সংঘর্ষে শহীদ হন বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন সেনা সদস্য। রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল দেশের উত্তর সীমান্ত।

২৩ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও শহীদদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো স্বীকৃতি বা আনুষ্ঠানিক সম্মান জানানো হয়নি। নেই কোনো সরকারি উদ্যোগে স্মৃতিস্তম্ভ কিংবা ‘বড়াইবাড়ি দিবস’ ঘোষণার ঘোষণা।

স্থানীয়রা বলছেন, “এই দিনটি কেবল একটি সংঘর্ষ নয়, এটি আমাদের আত্মত্যাগ, সাহস ও প্রতিরক্ষার প্রতীক। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না থাকলেও আমরা প্রতি বছর নিজেদের মতো করে শহীদদের স্মরণ করি। তবে এটি এখন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি রাখে।”

সামরিক বিশ্লেষক ও ইতিহাসবিদরা মনে করছেন, বড়াইবাড়ি সীমান্তে সংঘটিত এই ঘটনাটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের অন্যতম সাহসী প্রতিরক্ষা পদক্ষেপ। অথচ সেই বীরদের স্মরণে কোনো দিন এখনও নির্ধারিত হয়নি।

অনেকেই চাইছেন, ১৮ এপ্রিল দিনটিকে ‘বড়াইবাড়ি দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হোক। তাঁদের মতে, এটি কেবল ইতিহাস সংরক্ষণ নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে জাতীয়তাবোধ ও আত্মত্যাগের শিক্ষার একটি অনন্য দৃষ্টান্ত হবে।

যতদিন না শহীদদের সম্মান রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, ততদিন দেশের ইতিহাস থাকবে অসম্পূর্ণ—এমনটাই মনে করছেন দেশের সচেতন নাগরিকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বড়াইবাড়ি সীমান্ত যুদ্ধের ২৩ বছর পূর্তি: রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে নতুন করে উচ্চকিত কণ্ঠ

আপডেট সময় : ০৪:৫১:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল। দিনটি ইতিহাস হয়ে আছে জাতির স্মৃতিতে রক্তাক্ত এক অধ্যায় হিসেবে। কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ি সীমান্তে বাংলাদেশের বীর সেনারা বুক চিতিয়ে রুখে দিয়েছিলেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর আগ্রাসন। সেই সংঘর্ষে শহীদ হন বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন সেনা সদস্য। রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল দেশের উত্তর সীমান্ত।

২৩ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও শহীদদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো স্বীকৃতি বা আনুষ্ঠানিক সম্মান জানানো হয়নি। নেই কোনো সরকারি উদ্যোগে স্মৃতিস্তম্ভ কিংবা ‘বড়াইবাড়ি দিবস’ ঘোষণার ঘোষণা।

স্থানীয়রা বলছেন, “এই দিনটি কেবল একটি সংঘর্ষ নয়, এটি আমাদের আত্মত্যাগ, সাহস ও প্রতিরক্ষার প্রতীক। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না থাকলেও আমরা প্রতি বছর নিজেদের মতো করে শহীদদের স্মরণ করি। তবে এটি এখন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি রাখে।”

সামরিক বিশ্লেষক ও ইতিহাসবিদরা মনে করছেন, বড়াইবাড়ি সীমান্তে সংঘটিত এই ঘটনাটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের অন্যতম সাহসী প্রতিরক্ষা পদক্ষেপ। অথচ সেই বীরদের স্মরণে কোনো দিন এখনও নির্ধারিত হয়নি।

অনেকেই চাইছেন, ১৮ এপ্রিল দিনটিকে ‘বড়াইবাড়ি দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হোক। তাঁদের মতে, এটি কেবল ইতিহাস সংরক্ষণ নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে জাতীয়তাবোধ ও আত্মত্যাগের শিক্ষার একটি অনন্য দৃষ্টান্ত হবে।

যতদিন না শহীদদের সম্মান রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, ততদিন দেশের ইতিহাস থাকবে অসম্পূর্ণ—এমনটাই মনে করছেন দেশের সচেতন নাগরিকরা।