বড়াইবাড়ি সীমান্ত যুদ্ধের ২৩ বছর পূর্তি: রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে নতুন করে উচ্চকিত কণ্ঠ
- আপডেট সময় : ০৪:৫১:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
- / 25
২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল। দিনটি ইতিহাস হয়ে আছে জাতির স্মৃতিতে রক্তাক্ত এক অধ্যায় হিসেবে। কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ি সীমান্তে বাংলাদেশের বীর সেনারা বুক চিতিয়ে রুখে দিয়েছিলেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর আগ্রাসন। সেই সংঘর্ষে শহীদ হন বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন সেনা সদস্য। রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল দেশের উত্তর সীমান্ত।
২৩ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও শহীদদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো স্বীকৃতি বা আনুষ্ঠানিক সম্মান জানানো হয়নি। নেই কোনো সরকারি উদ্যোগে স্মৃতিস্তম্ভ কিংবা ‘বড়াইবাড়ি দিবস’ ঘোষণার ঘোষণা।
স্থানীয়রা বলছেন, “এই দিনটি কেবল একটি সংঘর্ষ নয়, এটি আমাদের আত্মত্যাগ, সাহস ও প্রতিরক্ষার প্রতীক। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না থাকলেও আমরা প্রতি বছর নিজেদের মতো করে শহীদদের স্মরণ করি। তবে এটি এখন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি রাখে।”
সামরিক বিশ্লেষক ও ইতিহাসবিদরা মনে করছেন, বড়াইবাড়ি সীমান্তে সংঘটিত এই ঘটনাটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের অন্যতম সাহসী প্রতিরক্ষা পদক্ষেপ। অথচ সেই বীরদের স্মরণে কোনো দিন এখনও নির্ধারিত হয়নি।
অনেকেই চাইছেন, ১৮ এপ্রিল দিনটিকে ‘বড়াইবাড়ি দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হোক। তাঁদের মতে, এটি কেবল ইতিহাস সংরক্ষণ নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে জাতীয়তাবোধ ও আত্মত্যাগের শিক্ষার একটি অনন্য দৃষ্টান্ত হবে।
যতদিন না শহীদদের সম্মান রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, ততদিন দেশের ইতিহাস থাকবে অসম্পূর্ণ—এমনটাই মনে করছেন দেশের সচেতন নাগরিকরা।