বাংলাদেশ ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উলিপুরে সূর্যমুখী চাষে তিন বন্ধুর ব্যাপক সাফল্য

  • আপডেট সময় : ০৪:১৯:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪
  • / 103

 

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিন বন্ধু মিলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলতি মৌসুমী সূর্যমুখী চাষ করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন। তাদের এই সাফল্যের জন্য এলাকায় অনেক কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালাডোবা গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পরিত্যক্ত জমিতে সূর্যমুখী চাষ কিভাবে ভালো ফলন হয় । আমরা এই চিন্তা ভাবনা করে । তিন বন্ধু মিলে ১০০ শতক জমিতে সূর্যমুখী চাষ করি। স্থানীয় তিন বন্ধু সাহাদত হোসেন, ওসমান আলী, ও জিয়াউর রহমান তিন বন্ধু মিলে বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালাড়োবা মৌজায় ১০০ শতাংশ পরিত্যক্ত জমি লিজ নেন। এরপর উলিপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা ও ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাজেদুল করিমের পরামর্শ নিয়ে সূর্যমুখী চাষ শুরু করেন শুরু থেকে মাত্র ৯০ দিনের মধ্যে ফলন হয়। ভালো ফলন ভালো হলে হেক্টর প্রতি ২ মেট্রিক টন উৎপাদন হওয়া সম্ভব। এই প্রথম চরাঞ্চলে বেশি জমিতে সূর্যমুখী খেত দেখতে পার্শ্ববর্তী কৃষকরা এসে ভিড় করছেন।

তরুণ উদ্যোক্তা সাহাদত হোসেন বলেন, পারিবারিক আর্থিক চাহিদা এবং পরিত্যক্ত জমিতে লিজ নিয়ে আমরা তিন বন্ধু মিলে সূর্যমুখী চাষ করি। ভালো ফলন হয়েছে। পাশাপাশি কম খরচ হাওয়া আগামীতে সূর্যমুখীর উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। স্থানীয় কৃষক, আব্দুল বারেক, মজিবর মন্ডল, আজগর আবু সাঈদ,শামসুল হক ,সহ অনেকে জানান তিন বন্ধুর এমন উদ্যোগ আমাদের নজর কেড়েছে আগামীতে সূর্যমুখী আবাদ করব।

এ ব্যাপারে, উলিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোশারফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাহিরে থাকায় বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী জানানো হবে বলে জানান।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাজেদুল করিম জানান, তিন তরুণ উদ্যোক্তা আমাদের কাছে পরামর্শ নিয়ে সূর্যমুখী চাষ ভালো হয়েছে। সূর্যমুখীতে কম খরচ তাই ভুট্টার চেয়ে সূর্যমুখীতে লাভজনক বেশি হবে। সূর্যমুখী তেল সরিষার তেলের মত ব্যবহার করা যাবে হার্টের রোগীর জন্য উপকার বেশি । পাখির খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তাছাড়ও এর খৈইল ও গরুর খাবার হিসাবে ব্যবহার করা যায়। উপজেলায় প্রথমবারের মতো তিনজন তরুণ উদ্যোক্তার উদ্যোগে সূর্যমুখী চাষ করায় এলাকার মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। স্থানীয় বাজারেও এটার যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। সকলের মতামত হচ্ছে এটা যথেষ্ট পুষ্টিযুক্ত একটি তেল। আমরা আশা করছি এই তরুণ তিন উদ্যোক্তার পথ অনুসরণ করে অন্যরাও এগিয়ে আসবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

উলিপুরে সূর্যমুখী চাষে তিন বন্ধুর ব্যাপক সাফল্য

আপডেট সময় : ০৪:১৯:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

 

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিন বন্ধু মিলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলতি মৌসুমী সূর্যমুখী চাষ করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন। তাদের এই সাফল্যের জন্য এলাকায় অনেক কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালাডোবা গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পরিত্যক্ত জমিতে সূর্যমুখী চাষ কিভাবে ভালো ফলন হয় । আমরা এই চিন্তা ভাবনা করে । তিন বন্ধু মিলে ১০০ শতক জমিতে সূর্যমুখী চাষ করি। স্থানীয় তিন বন্ধু সাহাদত হোসেন, ওসমান আলী, ও জিয়াউর রহমান তিন বন্ধু মিলে বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালাড়োবা মৌজায় ১০০ শতাংশ পরিত্যক্ত জমি লিজ নেন। এরপর উলিপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা ও ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাজেদুল করিমের পরামর্শ নিয়ে সূর্যমুখী চাষ শুরু করেন শুরু থেকে মাত্র ৯০ দিনের মধ্যে ফলন হয়। ভালো ফলন ভালো হলে হেক্টর প্রতি ২ মেট্রিক টন উৎপাদন হওয়া সম্ভব। এই প্রথম চরাঞ্চলে বেশি জমিতে সূর্যমুখী খেত দেখতে পার্শ্ববর্তী কৃষকরা এসে ভিড় করছেন।

তরুণ উদ্যোক্তা সাহাদত হোসেন বলেন, পারিবারিক আর্থিক চাহিদা এবং পরিত্যক্ত জমিতে লিজ নিয়ে আমরা তিন বন্ধু মিলে সূর্যমুখী চাষ করি। ভালো ফলন হয়েছে। পাশাপাশি কম খরচ হাওয়া আগামীতে সূর্যমুখীর উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। স্থানীয় কৃষক, আব্দুল বারেক, মজিবর মন্ডল, আজগর আবু সাঈদ,শামসুল হক ,সহ অনেকে জানান তিন বন্ধুর এমন উদ্যোগ আমাদের নজর কেড়েছে আগামীতে সূর্যমুখী আবাদ করব।

এ ব্যাপারে, উলিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোশারফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাহিরে থাকায় বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী জানানো হবে বলে জানান।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাজেদুল করিম জানান, তিন তরুণ উদ্যোক্তা আমাদের কাছে পরামর্শ নিয়ে সূর্যমুখী চাষ ভালো হয়েছে। সূর্যমুখীতে কম খরচ তাই ভুট্টার চেয়ে সূর্যমুখীতে লাভজনক বেশি হবে। সূর্যমুখী তেল সরিষার তেলের মত ব্যবহার করা যাবে হার্টের রোগীর জন্য উপকার বেশি । পাখির খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তাছাড়ও এর খৈইল ও গরুর খাবার হিসাবে ব্যবহার করা যায়। উপজেলায় প্রথমবারের মতো তিনজন তরুণ উদ্যোক্তার উদ্যোগে সূর্যমুখী চাষ করায় এলাকার মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। স্থানীয় বাজারেও এটার যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। সকলের মতামত হচ্ছে এটা যথেষ্ট পুষ্টিযুক্ত একটি তেল। আমরা আশা করছি এই তরুণ তিন উদ্যোক্তার পথ অনুসরণ করে অন্যরাও এগিয়ে আসবে।