নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী না থাকলে বন্ধ হবে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা
মনোযোগ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২২ পিএম
বেসরকারি স্কুল ও কলেজের জন্য নতুন জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২৫ প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নীতিমালায় জানানো হয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিও বা সরকারি অংশের বেতন-ভাতা পেতে হলে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী এবং ন্যূনতম পাসের হার নিশ্চিত থাকতে হবে।
নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী সংখ্যা নির্ধারিত সীমার নিচে নেমে গেলে শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারি অংশের বেতন-ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে। পাবলিক পরীক্ষায় নির্দিষ্ট সংখ্যক পরীক্ষার্থী থাকা এবং ন্যূনতম পাসের হার অর্জন করাও বাধ্যতামূলক।
নথি অনুযায়ী, নিম্ন মাধ্যমিকে শহরে অন্তত ১২০ এবং মফস্বলে ৯০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। মাধ্যমিক পর্যায়ে শহরে ২০০ ও মফস্বলে ১৫০ জন এবং উচ্চ মাধ্যমিকে শহরে ২৫০ থেকে ৩৯০ এবং মফস্বলে অন্তত ১৯০ জন শিক্ষার্থী থাকা জরুরি। কলেজ পর্যায়েও শহর ও বিভাগের ধরন অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যক শিক্ষার্থী নির্ধারণ করা হয়েছে।
পদোন্নতি কাঠামোতেও এসেছে পরিবর্তন। এমপিওভুক্ত সহকারী শিক্ষকরা প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে ১০ বছর চাকরি শেষে ‘সিনিয়র শিক্ষক’ হিসেবে পদোন্নতি পাবেন। তবে গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষকরা উচ্চতর গ্রেডের আর্থিক সুবিধা পেলেও সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাবেন না।
এমপিওভুক্তির পর সহকারী শিক্ষক হিসেবে ১০ম গ্রেডে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা বাধ্যতামূলক। পদোন্নতির পর বেতন স্কেল হবে গ্রেড-৯ (২২,০০০–৫৩,০৬০ টাকা)।