যুক্তরাজ্যে ‘৯৯৬’ কর্মসংস্কৃতির হুমকি: দৈনিক ১২ ঘণ্টা, সপ্তাহে ৬ দিন কাজের সম্ভাবনা

মনোযোগ প্রকাশ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪১ এএম

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যে কর্মসংস্কৃতিতে নতুন ধরণের চাপ দেখা দিতে পারে, যা আগে চীনের প্রযুক্তি খাতে দেখা যেত। পরিচিত ‘৯৯৬’ সংস্কৃতি অনুযায়ী একজন কর্মী প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং সপ্তাহে ৬ দিন কাজ করে। এই নিয়মে সপ্তাহে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়, যা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সুপারিশকৃত সর্বোচ্চ ৬০ ঘণ্টার সীমা অতিক্রম করে।

চীনে ২০১০ সালে শুরু হওয়া এই সংস্কৃতিকে ২০১৯ সালে গিটহাবের ‘অ্যান্টি-৯৯৬’ আন্দোলন ও ২০২১ সালে সর্বোচ্চ আদালতের অবৈধ ঘোষণা সত্ত্বেও অনেক প্রতিষ্ঠান এখনও অনুসরণ করছে। যুক্তরাষ্ট্রে বিশেষ করে সিলিকন ভ্যালির স্টার্টআপগুলোতেও কমপক্ষে ৭০ ঘণ্টার কাজ প্রত্যাশা করা হয়। স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত সময় দিলে কর্মীর বেতন ও শেয়ার বৃদ্ধি করা হয়।

যুক্তরাজ্যে সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা কাজের সীমা থাকলেও একটি বড় ফাঁক রয়েছে: কর্মীরা স্বেচ্ছায় চুক্তি সই করলে সীমার বাইরে কাজ করতে পারেন। লন্ডনের কিছু স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতা ইতিমধ্যেই সপ্তাহে ৭ দিন কাজের প্রতি উৎসাহ দিয়েছেন। তারা মনে করেন, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে এটি অপরিহার্য।

কিন্তু দীর্ঘ সময়ের অতিরিক্ত কাজ মানসিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা সৃষ্টি করছে। ব্রিটিশ অর্থনীতিতে চাপজনিত মানসিক সমস্যার কারণে বছরে প্রায় ৫৭.৪ বিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতি হয়। অন্যদিকে কিছু কোম্পানি স্বচ্ছভাবে ৯৯৬ সংস্কৃতিতে অংশ নেওয়া স্বেচ্ছামূলক এবং অংশগ্রহণকারীদের প্রণোদনা প্রদান করছে। উদাহরণস্বরূপ, লং আইল্যান্ডের এআই স্টার্টআপ ‘রিলা’ স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, যারা ৯৯৬-এ রাজি নন, তারা আবেদন করতে পারেন না।

এতে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্যে কর্ম-জীবনের ভারসাম্য ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার মধ্যে বিরোধ তৈরি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, একবার স্বাভাবিক হয়ে গেলে এই ধ্বংসাত্মক সংস্কৃতিকে প্রতিরোধ করা কঠিন হতে পারে।

যোগাযোগের ঠিকানা:

কুড়িগ্রাম অফিস: কলেজ রোড (রাজিবপুর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন),
চর রাজিবপুর, কুড়িগ্রাম।

ঢাকা অফিস: ২/এ, কালাচাঁদপুর মেইন রোড, ঢাকা- ১২১২

ইমেইল: monojogprokash2021@gmail.com

মোবাইল: +8801948-645226